**উইলসনের পেনাল্টিতে মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ওয়েলসের ১-০ গোলের জয় নিশ্চিত।**


 হ্যারি উইলসনের অনুপ্রেরণায় মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ওয়েলসের জয়, ক্রেইগ বেলামির অপরাজিত যাত্রা অব্যাহত

হ্যারি উইলসনের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ওয়েলস একটি পরিবর্তিত দল নিয়েও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়লাভ করে। উয়েফা নেশন্স লিগে এই জয়ের ফলে প্রধান কোচ ক্রেইগ বেলামির অধীনে ওয়েলস তাদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রাখল। ম্যাচের প্রথমার্ধে উইলসন একটি পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন, যা তাকে ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গ্যারেথ বেলের পর প্রথম ওয়েলস ফুটবলার হিসেবে তিনটি ম্যাচে টানা গোল করার গৌরব এনে দেয়।

ওয়েলস প্রথমার্ধে খেলায় আধিপত্য করে, বিশেষ করে উইলসন ও ডেভিড ব্রুকসের জাদুকরী খেলার মাধ্যমে। উভয়েই মন্টেনেগ্রোর ডিফেন্সকে চাপে রাখেন এবং মন্টেনেগ্রো গোলরক্ষক ইগর নিকিচকে বেশ কয়েকবার সেভ করতে বাধ্য করেন। উইলসনের বাম পায়ের ক্রস থেকে ওয়েস বার্নস হেড মিস করেন, এবং লিয়াম কালেনের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। মন্টেনেগ্রো উইলসনের গতিশীলতা সামলাতে ব্যর্থ হলে, ভ্লাদিমির ইয়োভোভিচের ফাউলের ফলে রেফারি পেনাল্টি দেন, যা থেকে উইলসন নিশ্চিতভাবেই গোল করেন।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ওয়েলস কিছুটা চাপে পড়ে, বিশেষ করে মন্টেনেগ্রো বদলি খেলোয়াড় আন্দ্রিয়া রাদুলোভিচের ২০ গজ দূর থেকে শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসলে। বেলামির আগের ম্যাচগুলোতেও দেখা গেছে, তার দল দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা শক্তি হারায় এবং প্রতিপক্ষ দল আক্রমণাত্মক হতে শুরু করে। এই ম্যাচেও তাই হলো, যদিও ওয়েলসের ডিফেন্স শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।

এই জয়ের মাধ্যমে বেলামি ওয়েলসের প্রথম কোচ হিসেবে প্রথম চারটি ম্যাচে অপরাজিত থাকলেন। তার অধীনে ওয়েলস নতুন এক আক্রমণাত্মক খেলার ধরন অনুসরণ করছে, যা প্রথমার্ধে বেশ কার্যকরী প্রমাণিত হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দলের ধৈর্যশক্তি কিছুটা কমে যাওয়া ছিল একটি চ্যালেঞ্জ।

মন্টেনেগ্রোর আক্রমণ ঠেকাতে ওয়েলসের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার জো অ্যালেনকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হয়। দুই বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক দলে ফিরে আসা অ্যালেন তার ৭৫তম ক্যাপ অর্জন করেন, এবং তার অভিজ্ঞতা ম্যাচে ওয়েলসের মধ্যমাঠে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।

শেষ পর্যন্ত, ওয়েলসের এই জয় তাদের নেশন্স লিগের গ্রুপ বি৪-এ শীর্ষস্থানীয় তুরস্কের থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রাখে। আগামী নভেম্বরে তুরস্কের বিপক্ষে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং এরপর আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ ওয়েলসের জন্য গ্রুপের শীর্ষস্থান দখলের সুযোগ এনে দেবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post